বাউফলে কলা গাছের গাইড ওয়াল দিয়ে সড়ক নির্মান

 বাউফলে কলা গাছের গাইড ওয়াল দিয়ে সড়ক নির্মান

দেলোয়ার হোসেন, বরিশাল.লাইভ: পটুয়াখালীর বাউফলে নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা হইতে কচুয়া সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার পাশাপাশি পাকা গাইড ওয়ালের পরির্বতে কলা গাছ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গাইড ওয়াল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ১০ফুট প্রস্থের ৭হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ১কোটি ৩০লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন.এস পল্লী স্টোর সড়ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের ইটের খোয়া। সড়কের প্রস্থ ১০ফুট হলেও কোথাও কোথাও তা ৯ফুট, সাড়ে ৮ফুট। সড়কটির হাওলাদার বাড়ির সামনে নির্মিত গাইড ওয়াল নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যেই তা ধ্বসে পড়েছে। ব্রীজের এপ্রোচের পাশে পাকা গাইডওয়ালের পরিবর্তে কলা গাছ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে গাইড ওয়াল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রুবেল নামে এক ব্যক্তি জানান, চুলার মাটি থেকেও নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে সড়ক নির্মাণে। স্থাণীয়রা এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনো র্কণপাত করেননি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ঠিকাদারের পক্ষে নির্মাণ কাজ তদারককারী মো. আজিজ মোল্লা নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবাহারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তায় যতটুকো পাকা পাইলিং ধরা ছিলো তা করা হয়েছে। আর যেখানে পাইলিং ধ্বসে পড়ছে তা পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, নি¤œমানের ইটের ব্যবহার কথাটি সত্য নয়। আর ডিজাইনে যেখানে যেখানে গাইড ওয়াল ধরা হয়েছে সেভাবেই করা হবে। কলাগাছ দিয়ে গাইড ওয়ালের বিষয়ে বলেন মাটি না পাওয়ার কারনে আপাতত শেল্টার দেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শত্রুতার কারনে এ ধরনের অভিযোগ করা হতে পারে।